কন্টেন্ট রাইটিং কীভাবে করবেন? আকর্ষণীয় ট্রিকস এন্ড টিপস

Created by UY LAB in Digital Marketing 19 Apr 2024
Share

আজকাল অনলাইন মার্কেটিংয়ে কন্টেন্ট রাইটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সুন্দর কন্টেন্টের গুণ হলো - এটি প্রতিটি বিষয় খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে। আপনি বলতে পারেন যে কন্টেন্ট হলো - এক ধরনের অলংকার। আপনি যে কোন কাজ বা বিজনেস করেন না কেন তার সুন্দর একটা কন্টেন্ট থাকতে হবে যা, দেখে মানুষ সেটা সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারণা পাবে।


ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এই কন্টেন্ট রাইটিংয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি। ২০২৪ সালের তথ্য মতে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৬৬.২% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই হার ৫৮.৫৩%। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে অনলাইনে কাজ করার সুযোগ।


আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে জানবো। কীভাবে একটি সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়। কী কী বিষয়ের উপর বেশি বেশি ফোকাস দিতে হবে। কন্টেন্ট এর মধ্যে ব্যবহৃত ভাষা, শব্দ কেমন হওয়া উচিত, এই সব ট্রিকস এন্ড টিপস নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য সাজানো হয়েছে।


চলুন তাহলে শুরু করা যাক -


কন্টেন্ট কী?


কন্টেন্ট হলো - একটি বিষয়কে সহজ ও মার্জিত ভাষায় উপস্থাপন করা, যা পড়ার সাথে সাথে মানুষ সেই বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারে। কন্টেন্টটি যে-কোনো বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত থাকতে পারে।

এটি টেক্সট কন্টেন্ট, ভিডিও কন্টেন্ট, ইমেজ কন্টেন্ট, ডকুমেন্ট ফাইল ইত্যাদি যেকোনো কিছুই হতে পারে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ভিডিও কনটেন্ট এবং ভিজ্যুয়াল তথা ইমেজ কন্টেন্ট বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।


অনলাইন প্লাটফর্মে বর্তমান সময়ে অনেক বড় বড় পেশার মধ্যে কন্টেন্ট তৈরি বা লেখা অন্যতম একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে অনেক কেই পাওয়া যাবে যারা কন্টেন্ট তৈরি করে বা লিখে নিজের একটি সফল ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। কন্টেন্ট তৈরি করা শিখে আপনি আপনার ক্যারিয়ারকে উজ্জ্বল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে অনলাইন বা অফলাইনে গড়ে তুলতে পারেন।


কন্টেন্ট রাইটিং কী?


ফ্রিল্যান্সিং জগতে, "কন্টেন্ট রাইটিং" এর অর্থ মূলত ব্লগ পোস্ট লেখা। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে যে ব্লগ গুলো থাকে সেগুলো যত্নসহকারে লেখার বিষয়টাই হচ্ছে- কন্টেন্ট রাইটিং


সহজ কথায়, কন্টেন্ট রাইটিং হলো - আপনার ক্লায়েন্টের কি-ওয়ার্ড তাদের নিজের মনের মতো ব্যবহার করে সুন্দর আর্টিকেল লেখা।


মনে করুন, আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে একটা টপিকের অফার দিলো। সেটা যেকোনো ধরনের টপিক হতে পারে। যেমন - “How do you take care of your cat?” 


আপনাকে এই বিড়ালের টপিকটার ওপর রিসার্চ করতে হবে। তারপর এই টাইটেলের ওপর আর্টিকেলটা লিখতে হবে। । আর্টিকেলটা লেখার সময় আপনাকে অবশ্যই এটা এনশিওর করতে হবে যে- রিসার্চ করতে গিয়ে এই আর্টিকেলটা আপনি কোথাও থেকে কপি করেননি, এছাড়া গ্র্যামারটিক্যাল ভুল নেই। অর্থাৎ, কন্টেন্টটা হতে হবে সম্পূর্ণই আপনার নিজস্ব রিসার্চ ও রিসোর্স করা থেকে লেখা। 


তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ার বাইরে— নরমালি কন্টেন্ট বলতে অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন, ভিডিও, অডিও, পডকাস্ট ইত্যাদি যেকোনো কিছু হতে পারে। তবে ইন টার্মস অব ফ্রিল্যান্সিং ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড ইন টার্মস অব কন্টেন্ট রাইটিং, আমরা কন্টেন্ট বলতে বুঝি একটা ব্লগপোস্ট! 


ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ওয়েব কন্টেন্ট প্ল্যানিং তৈরি এবং এডিটিং করার প্রক্রিয়াকে কন্টেন্ট রাইটিং বলা হয়। 


আপনি বিভিন্ন ফরম্যাটের ওয়েব কন্টেন্ট লিখতে পারেন। যেমন -


. ব্লগ পোস্ট


. সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট


. ভিডিও স্ক্রিপ্ট


. ইউটিউব ভিডিওর ডেসক্রিপশন বা বর্ণনা


. বিজ্ঞাপনের কপি


. ওয়েবসাইটের কপি


. ল্যান্ডিং পেইজের কপি


. ই-মেইল নিউজলেটার


. রিভিউ


১০. হোয়াইট পেপার


১১. কেস স্টাডি


১২. ই-বুক এবং


১৩. পডকাস্টের আউটলাইন ও স্ক্রিপ্ট।


এছাড়া অডিও কন্টেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট, গ্রাফিক কন্টেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রয়েছে।


কন্টেন্ট রাইটিং কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ?


আজকাল, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিটি ব্র্যান্ড এবং কোম্পানি ওয়েব কন্টেন্ট দিয়ে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছাতে চায়। তাহলে, একজন কন্টেন্ট লেখক হিসাবে, আপনি এই লক্ষ্য অর্জনে একটি বড় অবদান রাখতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যেমন - প্রফেশনাল কন্টেন্ট দিয়ে ওয়েবসাইটের এস-ই-ও ভাল করতে। এছাড়াও ভাল ওয়েব কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলো রাখতে পারেন টা নিচে তুলে ধরা হলো -



. সম্ভাব্য টার্গেটেড কাস্টমার বা অডিয়েন্সের নজর কাড়তে পারবেন।


. সম্ভাব্য টার্গেটেড কাস্টমার বা অডিয়েন্সের আস্থা অর্জন করতে পারবেন।


. আপনার সেলস বা বিক্রয়ের সম্ভাবনা বাড়াতে পারবেন।


. ওল্ড তথা পুরাতন কাস্টমারদের বিশ্বাস ধরে রাখতে পারবেন।



ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাবার কারণে ওয়েব কন্টেন্ট দিয়ে তাদের কাছে পৌঁছাতে চায় বর্তমান সময়ের প্রতিটি ব্যবসা এবং ব্র্যান্ড। একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে আপনি সে লক্ষ্য পূরণে বিজনেসের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। যেমন - এসইও ফ্রেইন্ডলী কন্টেন্ট দিয়ে ওয়েবসাইটের এসইও অথরিটি ভালো করতে পারেন। 


আকর্ষণীয় কন্টেন্ট রাইটিংয়ের সিক্রেট টিপস


একটি ভাল কন্টেন্ট যেমন - আপনার বা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখে, ঠিক তেমনই ভাল একটি কন্টেন্ট লিখতে বা তৈরি করতে কিছু নিয়ম-কানুন জানতে হবে। 


যে বিষয়গুলো একটা কন্টেন্টের মধ্যে থাকতে হবে। ঠিক তেমনি কিছু নিয়ম মেনে কন্টেন্ট তৈরি করলে তা সঠিক লক্ষে পৌঁছাতে আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কন্টেন্ট ভাল করার অব্যর্থ ও গোপনীয় ট্রিকস এন্ড টিপস, যা আপনাকে এক্সপার্ট কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।


কন্টেন্ট এর উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ঠিক করুন


উদ্দেশ্য বিহীন কোন কাজ ভাল হয় না, সফলও হয় না। আপনার কন্টেন্টের মধ্যে যদি ভাল উদ্দেশ্য না থাকে তা হলে সেটা ভালো হবে না, এমনকি গ্রহনযোগ্যতাও পাবে না। তাই কন্টেন্ট বানানোর আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে টার্গেট অডিয়েন্স আপনার কন্টেন্ট থেকে কি জানতে পারবেন। নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য কে সামনে রেখে কন্টেন্ট সাজাতে পারেন। কন্টেন্টের উদ্দেশ্যগুলো যেমন হতে পারে, তা নিচে তুলে ধরা হলো - 


. টার্গেট অডিয়েন্সকে যেকোনো ব্যাপারে অনুপ্রেরণা দেয়া, 


. অডিয়েন্স যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়, তার সমাধান করা,


. টার্গেট অডিয়েন্সকে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করা


যেমন - UY Lab ওয়েবসাইটের কথাই ধরা যাক। uylab.org ওয়েবসাইটের প্লাটফর্মের কন্টেন্ট দেখলে মনে হয় যে, এটি একটি অনলাইন এবং অফলাইন কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। যেখানে অফলাইন এবং অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব ধরনের কোর্স হাতে-কলমে শিখানো হয়।


এছাড়া কেমব্রিজ ইংলিশ ডিকশনারীর ''About Words'' ব্লগের কথাই ধরা যাক। ইংরেজি শব্দ ও বাগধারা নানা পরিস্থিতিতে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তার উপর বহু কন্টেন্ট রয়েছে এই ডিকশনারিতে। এর উদ্দেশ্য হলো পরিষ্কার যা, মানুষকে ইংরেজি শিখতে সাহায্য করা।


অপরদিকে ‘'How-To Geek’' টেকনোলজি ম্যাগাজিনের কন্টেন্ট দেখলেই বোঝা যায় যে, সেগুলো টার্গেট অডিয়েন্সের কম্পিউটার ও ডিজিটাল টেকনোলজির রিলেটেড নানা সমস্যার সমাধান দেয়।


কন্টেন্টের আপডেটেড তথ্য সংগ্রহ করুন


আপনি যে বিষয়ের উপর কন্টেন্ট তৈরি করতে চান সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন। আপনি হয়ত সে বিষয় নিয়ে হাল্কা পাতলা কিছুটা জানেন। কিন্তু একটা বিষয় সম্পর্কে জানা আর সে বিষয়কে সুন্দরভাবে তথ্য নির্ভর করে উপস্থাপন করা এক জিনিস নয়। আপনি কন্টেন্টে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো ডকুমেন্ট আকারে সাজাতে পারেন। এক্ষেত্রে তথ্যসূত্র উল্লেখ করে কপি পেস্ট করতে পারেন। এতে আপনার কন্টেন্টে কোন ইফেক্ট পড়বে না। কন্টেন্টের আউটলাইন অনুযায়ী কন্টেন্টের তথ্যগুলো এক জাগায় নিয়ে আসলে কন্টেন্ট বানাতে অনেক সুবিধা হবে।


টার্গেটেড অডিয়েন্স সেট করুন 


কন্টেন্ট দিয়ে আপনি আপনার একটি নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছতে চান। তাহলে আপনি যাদের জন্য কন্টেন্ট বানাচ্ছেন, তাদের পছন্দ-অপছন্দ, আচার-আচরণ, প্রয়োজন সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা থাকা দরকার আপনার। যাদের জন্য কন্টেন্ট লিখছেন অবশ্যই তাদের কিছু জিনিস আপনার বিবেচনায় রাখতে হবে। যেমন -


. যাদের জন্য কন্টেন্ট লিখছেন তাদের বয়সের রেঞ্জ কত?


. তারা কোন জেন্ডারের, ছেলে নাকি মেয়ে। আপনার কন্টেন্ট কাদের জন্য লেখা? 


. আপনার কন্টেন্ট এর বিষয়ে অডিয়েন্স কি-রকম ধারণা করতে পারে বা কি ভাবতে পারে? সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।


. আপনার কন্টেন্ট পড়ে অডিয়েন্সের কতটুকু জানার সম্ভাবনা রয়েছে? সে দিকেও নজর রাখতে হবে।


আপনার কন্টেন্ট এর টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করার সময় উপরের বিষয়গুলা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।


প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে কন্টেন্টের ধরন ও ভাষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, “Harvard Business Review' ও 'Inc.” দুইটি ম্যাগাজিন পাবলিকেশনের দিকে তাকাই।


“Harvard Business Review” পাবলিকেশনের টার্গেট অডিয়েন্স মূলত বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আর এক্সিকিউটিভ অর্থাৎ পারফর্মাররা। তাই এই পাবলিশারের কন্টেন্টের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যবসায়িক কৌশল বা স্ট্র্যাটেজির আলোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ। 


আবার “Inc.” প্রকাশনার টার্গেট অডিয়েন্স হলো - ছোট ও মাঝারি ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা আর এক্সিকিউটিভরা। তাই এতে পরামর্শমূলক কন্টেন্ট এমনভাবে পাবলিশ করা হয় যেন, একজন নতুন ব্যবসায়ীও তা সরাসরি কাজে লাগাতে পারেন।


কন্টেন্ট অনুযায়ী আউটলাইন সেট করুন 


কন্টেন্টের আউটলাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক। আপনি যদি আগে থেকে কন্টেন্টের আউটলাইন ঠিক করে রাখেন, তাহলে আপনার কন্টেন্ট লিখতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনি কন্টেন্টের সব কিছু একসাথে সাজানো গুছানো অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন। এতে করে আপনার অনেকটা সময় বেঁচে যাবে। আউটলাইন বানানোর আরেকটি বড় সুবিধা হলো, আপনার কন্টেন্টের গঠন অনেক সুন্দর হবে। যেভাবে আকর্ষণীয় আউটলাইন বানাবেন তা নিচে তুলে ধরা হলো - 


. সম্পূর্ণ কন্টেন্টকে প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকটি ধাপে ভাগ করে নিন,


. কন্টেন্টের কোন অংশে কি কি থাকবে, সে বিষয়গুলো সুন্দর করে বুলেট পয়েন্ট আকারে লিখে রাখুন।


একটু উদাহরণ দিলে আপনাদের বুঝতে সহজ হবে, ধরুন আপনি একটি সুন্দর মজাদার খাবারের রেসিপি লিখবেন। তখন আপনার কন্টেন্টের আউটলাইনটা এমন হতে পারে যে,


. যে খাবার তৈরি করছেন সে খাবারের নাম,


. খাবার তৈরি করার সকল উপকরণ। কি কি লাগবে, কি কি লাগবে না, কি কি ব্যবহার করলে খাবারটা আরো মজাদার হতে পারে। তাছাড়া এই খাবার বানাতে কোন জিনিস কতটুকু পরিমাণে দিতে হবে তার লিস্ট।


. খাবারের বিশেষত্ব অর্থাৎ আপনার তৈরি খাবার অন্য সবার থেকে কেনো স্পেশাল। খাবারের স্বাদ কেমন। খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতা কি কি?


. খাবার বানানোর স্টেপগুলো এবং খাবার বানাতে কত সময় লাগবে।


. সুন্দরভাবে খাবার পরিবেশন এর সঠিক ও সেরা উপায়। 


মূল পয়েন্টগুলোতে ফোকাসড থাকুন


আপনি যখন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবেন এবং আলোচনা করবেন, তখন আপনার চারপাশে আরও অনেক বিষয় উঠে আসতে পারে যা, আপনাকে ঐ বিষয়টি যথাযথ বুঝতে সাহায্য করবে। কিন্তু আপনার কন্টেন্টের মূল ফোকাসের যে বিষয় আছে, সে দিকে নজর রাখুন যেন, আপনি আপনার মূল বিষয় থেকে সরে না যান। বিশেষ করে ওয়েব কন্টেন্ট তৈরি করার সময় মূল বিষয়ের বাইরে যেন আপনার বক্তব্য সরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।


ধরা যাক, আপনি একটি ১৫ মিনিটের ভিডিও তৈরি করতে চান, আর তা হলো - "কীভাবে একটি ভাল সেল ফোন কিনবেন"? এই ক্ষেত্রে, আপনার স্ক্রিপ্টে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম থাকতে পারে। কিন্তু বারবার নানা ব্র্যান্ডের মডেলের নাম উল্লেখ করতে থাকলে সেগুলোর ফিচার নিয়ে কথাবার্তা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠবে।


প্রব্লেম সল্ভিং কন্টেন্ট লিখুন 


আপনার কন্টেন্ট পড়ে টার্গেট অডিয়েন্সদের কাজে আসবে বা উপকারে আসে, এমন কিছু বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করুন। এমন কোন তথ্য বা পরামর্শ দিতে পারেন যা, তাদের জীবনে কাজে আসবে। এমনকি বাস্তব জীবনে সেটা প্রয়োগ করে কিছু করতে পারবে, শিখতে পারবে, এমন কন্টেন্ট লিখুন। ধরুন, আপনি MS Word নিয়ে একটি স্ক্রিপ্ট লিখছেন বিগিনার লেভেলের নন-টেকনিক্যাল অর্থাৎ যারা একদম নতুন এমন অডিয়েন্সের জন্য। সেক্ষেত্রে আপনি MS Word এর সকল বিষয় নিয়ে একটি কন্টেন্ট মধ্যে আলোচনা না করে, বাস্তব জীবনে কাজে আসবে এমন ৮ থেকে ১০ টি টপিক বা ফাংশন নিয়ে আলোচনা করুন। যাতে করে একদম নতুন যারা তার কিছু শিখতে পারে এবং তাদের বাস্তব জীবনে সেটা কাজে আসে, উপকারে আসে এমন কন্টেন্ট লিখুন। তাছাড়া আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সরা কী ধরনের প্রব্লেম ফেস করে, তা রিসার্চ করে, সল্যুশন ভিত্তিক কন্টেন্ট প্রোভাইড করুন।  


ইউজার ফ্রেইন্ডলী কন্টেন্ট স্ট্রাকচার করুন


আপনার রূপরেখা অর্থাৎ আউটলাইনের প্রতিটি পয়েন্টকে কন্টেন্টের একেকটি অংশ হিসাবে গণ্য করতে পারেন। পয়েন্টগুলোকে যদি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হয়, তাহলে পয়েন্টগুলোকে ধাপে ধাপে পয়েন্টে পয়েন্টে ভাগ করে ফেলুন। কন্টেন্টের গঠন কাঠামো পরিষ্কার ও স্বচ্ছ রাখার জন্য  বিষয়টি ধাপে ধাপে তুলে ধরুন। সাথে সাথে উদাহরণ ব্যবহার করলে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হবে এবং গ্রহণযোগ্যতা পাবে। মূল কথা হলো - কন্টেন্ট এর গঠন কাঠামো পরিষ্কার রাখুন যাতে, আপনার টার্গেট অডিয়েন্স খুব সহজেই বিষয়টি বুঝতে পারে, যা আপনি তাদের বুঝাতে চাচ্ছেন।


সহজ ভাষায় কন্টেন্ট লিখুন


কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে “সহজ ভাষা” এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কন্টেন্ট এর ভাষা ব্যবহারে ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, সেটি যেন কঠিন বা গুরুগম্ভীর না হয়। অনেক কঠিন এবং বড় কোন শব্দ অডিয়েন্সের মধ্যে এক ধরনের বিরক্ত ভাব নিয়ে আসতে পারে। তাই কন্টেন্ট এর ভাষা যত সহজ হবে অডিয়েন্সের কাছে সেটা তত গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তাই যতটা সম্ভব কন্টেন্টকে সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখার চেষ্টা করুন, যাতে সকল ধরনের মানুষ আপনার কন্টেন্ট পড়তে পারে এবং বুঝতে পারে। 


নিজস্ব স্টাইল থেকে লিখুন


অন্যকে অনুকরণ বা নকল করে নয় বরং, নিজের স্টাইল এবং অডিয়েন্সের ধরন অনুযায়ী আপনার কন্টেন্টকে সাজিয়ে লিখুন। যেভাবে লিখলে আপনার নিজের স্টাইল ও কন্টেন্টের কোয়ালিটি ঠিক থাকবে, আবার অডিয়েন্সের চাহিদাও মিটবে, সেইভাবে আপনার লেখা বা আপনার কন্টেন্টকে উপস্থাপন করুন। অনেকে খুব গুরুগম্ভীর ভাষা ব্যবহার করে কন্টেন্ট লেখে, আবার কেউ কেউ একটু রচনার মত করে কৌতুক মিশিয়ে সেটা উপস্থাপন করে, আবার অনেকে খুব আবেগ ইমোশন নিয়ে লেখে, আবার কেউ বা নিজের বাস্তব জীবনের ঘটনা নিয়ে কন্টেন্ট লিখে।


এখন বলুন আপনার স্টাইল কোনটি?


ফেসবুকে বাংলা চলচ্চিত্রের মিম শেয়ার করা ইউজার আর লিংকডইনে বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে পোস্ট করা ইউজারের ভাষা অবশ্যই এক  হবে না। কন্টেন্ট কোন প্ল্যাটফর্মের জন্য বানানো হচ্ছে? ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট? ফেসবুক নাকি ইউটিউব? এই প্ল্যাটফর্মের বিষয়টি মাথায় রাখুন। কন্টেন্টের স্টাইল যেন প্ল্যাটফর্ম উপযোগী ও ইউজারসাপেক্ষে গ্রহণযোগ্যতা পায়, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। 


কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিতে ফোকাস করুন


হাজার হাজার কোয়ালিটি ছাড়া কন্টেন্ট লেখার থেকে, কিছু মানসম্মত কন্টেন্ট লেখা উত্তম। মনে রাখতে হবে, টার্গেটেড অডিয়েন্সের চাহিদা অনুযায়ী যদি মানসম্মত কন্টেন্ট লিখতে পারেন ,তাহলে আপনার সেই কন্টেন্টটি র‍্যাংকিং এ সবার উপরে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনার অডিয়েন্স আপনার লেখা থেকে কি চায় সে অনুযায়ী আপনার কন্টেন্ট ডেলিভার করতে হবে। যেকোনো কন্টেন্ট লেখার আগে মাথায় রাখতে হবে যে, কন্টেন্টটি কতটা ইনফরমেটিভ এবং কোয়ালিটিফুল করা যায়। কোয়ালিটিফুল কন্টেন্টের র‍্যাংকিং নিয়ে চিন্তা করতে হয় না, কারণ এসব কন্টেন্টের সার্চ ভলিউম অর্গানিকলি বেড়ে যায়। এছাড়া গুগলের রিসেন্ট আপডেটে গুগল হিউম্যান রাইটিং নয় এমন কন্টেন্টের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে, কোয়ালিটি ছাড়া কন্টেন্ট লবণ ছাড়া তরকারির মতন।  


অডিয়েন্সদের দৃষ্টিকোণ থেকে কন্টেন্ট এডিট করুন 


একবারের চেষ্টায় ভালো মানের কন্টেন্ট লিখা অত্যন্ত কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজ। কন্টেন্ট লেখা শেষ হলে তা নিজে নিজে বার বার পড়ুন। কোনো জায়গায় খটকা লাগলে বা এডিট করার প্রয়োজন থাকলে সে অংশে পরিবর্তন আনুন। আপনি যখন আপনার লেখা কন্টেন্ট বার বার পড়বেন তখন দেখবেন, নতুন আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। পড়ার সময় যদি দেখেন, কোন তথ্য বা পয়েন্ট যদি মিস হয়ে যায়, তাহলে সেটা কন্টেন্টে অ্যাড করুন।


প্রয়োজনে কন্টেন্ট লেখা শেষে নিজেকে অডিয়েন্সের জায়গায় রেখে বার বার পড়ুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজে পরিষ্কারভাবে নিজের কন্টেন্ট বুঝতে পারছেন বা নিজে সেটিসফাইড হচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত বার বার পড়ুন, প্রয়োজনে শতবার এডিট করুন। আরও সময় দিয়ে কাজ করুন। আপনি যে সকল অডিয়েন্সকে টার্গেট করে কন্টেন্ট লিখেছেন, আপনার পরিচিতর মধ্যে সেরকম কেউ থাকলে তার মতামত গ্রহণ করুন। এটি আপনাকে সঠিক ও স্বচ্ছ একটি ধারণা দিতে সাহায্য করবে।


কোন কাজ প্রথমবারেই শতভাগ সফল বা সঠিক হওয়া সহজ বিষয় নয়। অধ্যবসায় এবং চর্চার মাধ্যমেই আসে প্রকৃত সফলতা। আর কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনার চর্চার কোন বিকল্প নেই। যত চর্চা করবেন আপনার জন্য কাজটা ততই সহজ হবে। আরো তত নতুন নতুন আইডিয়া নিজের মধ্যে থেকে বের হবে। এতে করে নিজস্ব একটা স্টাইল চলে আসবে। তাই আপন মনে ধৈর্য ধরে চালিয়ে যেতে হবে কন্টেন্ট রাইটিং।


কন্টেন্ট রাইটিং শেখার স্টেপগুলো কী কী?

আপনি দুটি উপায়ে কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে পারেন - বিনামূল্যে (ফ্রি) বা অর্থ প্রদান (পেইড অর্থাৎ পে) করে। রাইটিং শুরু করার আগে এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। দুই ক্ষেত্রেই এর সুবিধা এবং অসুবিধা আছে। 


আজকাল অনলাইনে ফ্রি রিসোর্সের কোন অভাব নেই। আপনার যদি কোর্সের জন্য টাকা না থাকে, তাহলে আপনি যদি এটি শেখার চেষ্টা করেন, তবে আপনি ফ্রিতেই অনলাইনে কন্টেন্ট কীভাবে লিখবেন তা শিখতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্যের।


কিন্তু কয়েনের উল্টো পিঠের কথা চিন্তা করলে, যদি বাস্তবে ফ্রিতে একদম নতুন কেউ কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে যায় তবে রিসোর্সের মহাসমুদ্রে ভেসে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুনরা যেকোনো নির্দেশনার অভাবে হালকা পাতলা ধারণা নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে সাকসেস না পেয়ে ধাক্কা খেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে।


এক্ষেত্রে কোনো পেইড কোর্সের আন্ডারে থাকলে একটা মহাসমুদ্রের ভেতর থেকে আপনি সঠিক গাইডলাইন পাবেন। আপনার জন্য হাতের কাছে সব সিলেবাস আকারে গোছানো থাকবে। একজন মেন্টর বা আপনার পরামর্শদাতা আপনাকে প্রেক্টিক্যালি প্রায় সবকিছু ব্যাখ্যা করবে। বাজারে অনেক কোর্স আছে যেগুলোতে আপনি পারসোনালভাবে কোর্স চলাকালীন এবং কোর্স শেষেও সাপোর্ট পাবেন


সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং আপনি ক্লায়েন্টকে বলতে পারবেন যে, আপনি এই বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ কোর্স করেছেন। এতে করে, ক্লায়েন্টও সহজেই আপনাকে বিশ্বাস ও ভরসা করবে।


এছাড়াও কোর্সগুলোতে এক্সপার্টরা কাজ খোঁজা থেকে শুরু করে ভুল শোধরানো - সবকিছুতেই সাহায্য করে। এতে করে, মার্কেটপ্লেসে আপনার হতাশ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।


তবে যেকোনো কোর্স হুটহাট দেখেই কিনে ফেলা উচিত না। এ ব্যাপারে নতুনরা ভীষণ বোকামির পরিচয় দিয়ে ফেলে।


বিচার বিবেচনা করে, কন্টেন্টের লিস্ট দেখে এরপরই টাকা দিয়ে কোর্স কিনতে হবে আপনাকে। এজন্য আগে ফ্রি রিসোর্সগুলোতে ঘুড়ে বেড়ানো আপনার জন্য অনিবার্য। কারণ এতে করে আপনি ঐ বিষয়ের উপর ভালো একটি ধারণা পাবেন।


বর্তমানে বাজারে অনেক পেইড কোর্স আছে। অনেকে অনেক ধরনের কোর্স করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সুতরাং, কেনার আগে, আপনি অবশ্যই কোর্স সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ করে, রিভিউ দেখে তারপরই কোর্সটি কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন। 


এছাড়া আপনি আমাদের uylab.org ওয়েবসাইট থেকেও কন্টেন্ট রাইটিংয়ের কোর্সটি করতে পারেন। কন্টেন্ট রাইটিং ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং জগতের সব কোর্সই আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। 


কীভাবে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করা যায়?

কন্টেন্ট লিখে কী আসলেই ইনকাম জেনারেট করা যায়? হ্যাঁ, অবশ্যই ইনকাম করা যায়। প্রথমেই আমরা আপনাদের বলেছি যে, বর্তমানে কন্টেন্ট ইনকামের একটি বড় মাধ‍্যম হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কেননা কন্টেন্টই হলো কিং অর্থাৎ রাজা। কন্টেন্ট লিখে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে মানুষ বিভিন্নভাবে ইনকাম জেনারেট করছে। কেউ ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করছে। আবার কেউ স্যোশাল মিডিয়ায় নিজের লেখা বা অডিও, ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে পাবলিশ করে আয় করছে। এছাড়াও আপনি একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সেখান থেকেও ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।



অন্য ৮-১০ টা কাজের মতো কন্টেন্ট রাইটিংয়ের ক্ষেত্রেও চর্চার কোনো বিকল্প নাই। কন্টেন্ট লেখায় এক্সপার্ট হতে হলে বিভিন্ন ফরম্যাটে নিয়মিত লিখুন। এতে করে একসময় নিজের একটা স্টাইল পেয়ে যাবেন। আর একবার কন্টেন্ট লেখাটা হাতে চলে আসলে আপনি খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে কন্টেন্ট লেখায় এক্সপার্ট হয়ে উঠতে পারবেন। বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট পুরো মার্কেট জগৎটাকে দখল করে আছে। যার কন্টেন্ট যতো বেশি ভালো ও আকর্ষণীয় সে তত বেশি মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে। তাহলে সহজেই বুঝতেই পারছেন যে, কন্টেন্ট রাইটিং কতটা ইউনিক ও আকর্ষণীয় সেক্টর বর্তমান ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে।


Comments (0)

Share

Share this post with others

অনলাইন কোর্সে ১০০% স্কলারশিপের সুযোগ

অনলাইন কোর্সে ১০০% স্কলারশিপের সুযোগ

আসন সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ইউ ওয়াই ল্যাবের সকল অনলাইন কোর্সে পাবেন ১০০% স্কলারশিপ! আসন নিশ্চিত করতে রেজিঃ করুন এখনই।